ওঁ প্রকৃতি ওঁ প্রেম

View cart “একুশ ও স্বাধীনতা” has been added to your cart.

৳ 150.00

ফরিদ কবির প্রচলিত কবিতা রচনার মাধ্যমে যাত্রা করলেও প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হৃদপিণ্ডে রক্তপাত’ প্রকাশের পরই আমূল পাল্টে ফেলেন নিজের কবিতার ভাষা ও প্রকরণ। যে কারণে পরবর্তীকালে তাঁর কবিতা আর থাকেনি প্রচল-অনুসারী, ক্রমাগত নিরীক্ষায় তিনি বাংলা কবিতাকে নিয়ে যান এক নতুন গন্তব্যের দিকে, যে কবিতার ভাষা একান্ত তাঁরই। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় একাই বাংলা কবিত-শরীরে যোগ করেন নতুন ডিকশন। প্রচলিত ও প্রথা –কবিতার বদলে কবিতার জন্য সৃষ্টি করেন নতুন রাস্তা। ‘ওড়ে ঘুম ওড়ে গাঙচিল’, ‘অনন্ত দরোজাগুচ্ছ ‘ও ‘মন্ত্র’ পর্যন্ত প্রতিটি গ্রন্থে, এবং এর পরবর্তীকালে রচিত প্রতিটি কবিতাতেই তিনি প্রবলভাবে নিরীক্ষাপ্রবণ, ফলে প্রতিটি গন্থের মধ্যেই রচিত হয়েছে যোজন ব্যবধান- প্রথা-কবিদের মতো সকল গ্রন্থে তিনি লেখেননি একই ধরনের কবিতা। তাঁর কবিতা বরাবরই উন্মোচন করে মানুষের চেতন-অবচেতনের বহুবর্ণিল অথচ অনুচ্চারিত আনন্দ –বেদনার গভীর উপলব্ধিসমূহ। এমনকি মানুষের সঙ্গে মানুষ ও মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির পাস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক জটিলতাও অনুচ্চারিত থাকে না তাঁর কবিতায়। তাঁর বর্ণনাভঙ্গি এতই সংক্রামক যে সেই আচ্ছন্নতা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে পাঠকের পক্ষে, এমনকি পাঠের অনেক পরেও। যে কোনো ছন্দেই তিনি অনায়াস। এমন অনেক ছন্দও তিনি ব্যবহার করেছেন যার উদাহরণ বাংলা কবিতায় বিরল। পদ্য বা গগ্য- যে কোনো রচনায় বরাবর সৃষ্টিশীল এবং প্রথাবিরোধী এই কবি লেখকের জন্ম ঢাকায়, ১৯৫৯ সালের ২২ জানুয়ারি। বড় হয়েছেন পুরান ঢাকার জিন্দাবাহারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে মাস্টার্সে পড়লেও পরীক্ষা দেননি। মুদ্রণ ব্যবসা দিয়ে জীবিকা শুরু করলেও পেশা বদল করেছেন বারবার। ব্যবসা ছেড়ে চাকরি করেছেন ব্যাংকে। সেটা ছেড়ে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিকতায়। প্রথমে আজকের কাগজে ও পরে ভোরের কাগজে। আর, এখন জনসংযোগ পেশায়। এ ছাড়াও, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মাসিক কাগজ ‘নতুনধারা’র তিনি অতিথি সম্পাদক। কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ ও সম্পাদনাসহ তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২০টি। ঝর্ণা ইয়সমীন তাঁর স্ত্রী এবং মুগ্ধ চন্দ্রিকা তাঁর একমাত্র মেয়ে।