রক্তের দাগ মুছে রবীন্দ্রপাঠ

View cart “বাংলা কবিতার আধুনিকায়ন” has been added to your cart.

৳ 200.00

কবি ফরহাদ মজহার সেই প্রজন্মের একজন, যাঁরা রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক আবির্ভাবের মধ্যে রবীন্দ্রণাথকে ও অর্জন করেছিলেন। কিন্তু তারপর দেখেছেন, রবীন্দ্রণাথকে গ্রহণের তাৎপর্য একদলের কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে গণমানুষের সংস্কতি থেকে ইসলাম ও আসলামের ঐতিহ্যকে মুছে ফেলে ‘বাঙালিত্ব’র নামে ঔপনিবেশিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী ধারার মধ্যে মিশে যাওয়া। এরই প্রতিক্রিয়ায় অপর একটি ধারা চাইছে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাণবন্ত ধারাবাহিকতার সঙ্গে নাড়ির বন্ধন কেটে আমাদের আরব মুসলমান বানাতে । বাংলাদেশে এখনকার লড়াই এ- দুই সাম্প্রদায়িকতার খপ্পর থেকে বের হয়ে আসা। ফরহাদ মজহার নবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতা, নান রকম নিরীক্ষা ও আত্মপরিচয়ের প্রশ্নে রবীন্দ্রনাথের নিজেকে ‘হিন্দু’ হিশেবে প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণের পাশাপাশি নেই অন্ষণের রাজনৈতিক অভিমুখটাও ধরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাবনা ও অবস্থানকে সামনে রেখে উপমহাদেশের হিন্দু-মুসলমানের বেড়ে ওঠার ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং উচু বর্ণের ব্রাক্ষণ পন্ডিতদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলা গদ্যকে নতুন করে গড়ে তোলার সাহিত্যিক প্রচেষ্টার অসামান্য রাজনৈতিক তাৎপর্য বিচার করেছেন। আর বলাবাহুল্য, ঔপনিবেশিকতার ঔরসে তৈরি বাংলা গদ্যকে ভেঙ্গে সর্বসাধারণের কাছাকাছি নিয়ে আসার রাবীন্দ্রিক লড়াইয়ের ভেতর নিজেকে অতিক্রম করে যাবার ইঙ্গিত ও তাগিদ ছিল। ফরহাদ মজহার মনে করেন, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সম্পর্ক জননীমূলক। জননীর গর্ভের মধ্যে ভ্রুণের অবিকশিত বন্দিত্ব মোচন হলেই স্বাধীন অস্তিত্ব অর্জন সম্ভব। অগ্রসরমানত সে কারণেই অস্বীকার এবং বিচ্ছেদময়। ভাষা নিয়ে নবীন্দ্রনাথের ভা্না  ও চকিত অর্ন্তদৃষ্টি, প্রকাশের ভিন্ন ভাষা-প্রক্রিয়ার ইঙ্গিত, অর্থবোধন ঘটিয়েও কল্পনাকে জাগিয়ে দেবার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার একটি অনালোচিত নিরুপম বৈশিষ্ট্যের দিকে আলো ফেলেছেন লেখক রবীন্দ্রনাথেরে নয় তাকে প্রকাশের শক্তি, প্রকাশের সরাসরি,  অব্যবহিত প্রক্রিয়ার দিকে ভাবুক ফরহাদ মজহার আমাদের টেনে নিয়ে যান।