অন্ধকারের কলস ভেঙে

View cart “বঙ্গবন্ধুর বাণী” has been added to your cart.
View cart “উত্তর পুরুষ” has been added to your cart.
View cart “বাংলাদেশ ১৯৯৩” has been added to your cart.
View cart “আমাদের রাজনীতি চলে বাঁকে বাঁকে” has been added to your cart.

৳ 100.00

ছড়া পড়ার পর বোঝা যায় এটা কোন ধরনের ছড়া। ও ছড়া! শিশুতোষ! ননসেন্স রাইসম! না, প্রিয় পাঠক! পাঠ করুন তারপর বলুন। কারণ, ছড়া শব্দটির দুর্ভাগ্য বলুন আর সৌভাগ্য বলুন– যে শোনে সেই মনে করে শিশুতোষ ব্যাপার-স্যাপার। এর অন্যতম কারণ হলো আমাদের অনেকের ছড়া সম্বন্ধে ধারণা পরিষ্কার নয়। ছড়ার শ্রেণিভাগ আছে। যেমন: শিশুতোষ  ছড়া, বুড়োতোষ ছড়া, উদ্ভট ছড়া, ব্যঙ্গাত্মক ছড়া, সমকালীন ছড়া রাজনৈতিক ছড়া, প্রকৃতি বিষয়ক ছড়া, প্রেমের ছড়া, বিষয়ভিত্তিক ছড়া। কাজেই ছড়া নাম শুনেই বলা যাবে না- ও শিশুতোষ ব্যাপার। সাধারণত সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি বিষয় সম্বন্ধে আমাদের পূর্ব ধারণা আগেই মনের মাঝে তৈরি হয়ে থাকে। এটাকে ‘প্যারাডাইম’ বলে। প্যারাডাইম কী? যেমন: কোর্ট, হাসপাতাল, বিবাহ, বিদ্যালয়। এসব শব্দ শোনামাত্রই আমাদের মনের আয়নায় একটা ছবি ভেসে ওঠে। হাসপাতাল মানে ডাক্তার, নার্স রোগী, ঔষুধ ইত্যাদি। কোর্ট মানে বিচারক, উকিল, মক্কেল, টাকা-পয়সা ইত্যাদি, তাই না? তো কবিতা বা গল্প বললে কী শুধু প্রেমের কবিতা গল্প বুঝি?  নাকি যে কোনো বিষয়ের কবিতা গল্প হতে পারে। তো ছড়া শব্দটি শোনামাত্রই আমাদের অনেকের মনের আয়নায় ভেসে ওঠে কী? ছড়া না পড়ে বলা যাবে না এটা কী ধরনের ছড়া। কাজেই এই যে প্যারাডাইম বা পূর্ব ধারণা এটাকে বদলাতে হবে। মন থেকে এটা সরানোর পর খোলামনে বিচারবিশ্লেষণ করা সহজতর হবে। ছড়া  ছন্দোবদ্ধ ব্যাকরণসিদ্ধ অনবদ্য তাল মাত্রা সমৃদ্ধ মনের উজ্জ্বল আকিঞ্চন। একই সাথে ছড়া আন্তর্জাতিক, জীবন্ত ও যৌবন্ত।