ইতিহাসের রক্তপলাশ: পনেরোই আগস্ট পঁচাত্তর

View cart “আদমবোমা” has been added to your cart.

৳ 400.00

ঢাকা কলেজে পড়াকালীন আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রথম সাক্ষাৎ পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
তারপর থেকে মাঝে মাঝেই দেখা এবং ঘনিষ্ঠতা। বঙ্গবন্ধু তাকে কবি হিসেবেই জানতেন।
বঙ্গবন্ধু তাকে ভালোবাসতেন। গাফফার চৌধুরীও ভালোবাসতেন বঙ্গবন্ধুকে। প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন বলেই
বঙ্গবন্ধুর কোনো পদক্ষেপ ভুল মনে হলে সরাসরি বিরোধিতা করেছেন তিনি। অন্য অনেকের মতো পেছন
থেকে ছুরি মারার মানসিকতা তার ছিল না। তবু বঙ্গবন্ধু তাকে ভুল বুঝেছেন। সেই ভুল ভেঙেছেও। আবার
ভুল বুঝেছেন। আর অন্য অনেকের মতোই ভাগ্যের ফের গাফফার চৌধুরীকে বিরাগভাজন বানিয়েছে জাতির
জনকের। কিন্তু তাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গাফফার চৌধুরীর ভালোবাসা এবং দৃষ্টিভঙ্গী, কোনোটিই পরিবর্তন
হয়নি। কারণ তিনি দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর চারপাশের প্রতিটি মানুষকে। দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর সামনে এবং পেছনে
তাদের ভূমিকার বিস্তর ফারাক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কি জানতেন, তাকে হত্যা করার জন্য একটা বিরাট চক্রান্ত চলছে? তিনি কি জানতেন, এই চক্রান্তে বিদেশিরা যেমন আছে, তেমনি আছে তার নিজ দলের লোক? নিজ দেশের লোক?
এই চক্রান্তের উদ্দেশ্য কি? শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা? না, বাংলাদেশেরও সর্বনাশ করা?
মুজিব হত্যার জন্য কি শুধু কয়েকজন মেজর দায়ী? নাকি এর পেছনে ছিল আন্তর্জাতিক চক্রান্ত?
মুক্তিযুদ্ধের আরও চার জাতীয় নেতাকে জেলের ভেতর কেন নৃশংসভাবে হত্যা করা হল? সামরিক বাহিনী ও আমলাতন্ত্র এই হত্যা চক্রান্তে কতটা জড়িত? এইসব প্রশ্নের প্রেক্ষিতে লেখকের নিজস্ব ডায়েরির তথ্য ও অভিজ্ঞতা ভিত্তি করে রচিত এই স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ।