এই বসন্তে তোমাকে

৳ 150.00

স্বাধীনতা-পরবর্তী কালের তরুণ প্রজন্মের শীর্ষস্থানীয় কবিদের একজন নাসির আহমেদ। দ্বীপজেলা ভোলা সদরের আলীনগরে জন্ম। মৌলভী আবদুল গফুর ও উম্মে কুলসুমের চতুর্থ সন্তান নাসির লেখাপড়া করেছেন আলীনগর প্রি প্রাইমারি স্কুল, ভোলা টাউন হাই স্কুল, চরপাতা হাই স্কুল, এ রব হাই স্কুল এবং নিয়ামতপুর হাই স্কুলে। কলেজ জীবনে ভোলা কলেজ, জগন্নাথ কলেজ ও সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিসহ এম.এ ডিগ্রি অর্জন। সাংবাদিকতার শুরু ছাত্রজীবনেই (সাপ্তাহিক গণমুক্তি)। এরপর দৈনিক বাংলা ও দৈনিক জনকণ্ঠে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা শেষে ২০০৮ সালে দৈনিক সমকালে যোগদান, ছয় বছর চাকরি শেষে সহযোগী সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দৈনিক বর্তমানে যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) পদে যোগদান। কবি হিসেবে নাসির আহমেদের বিশিষ্টতার অনেক বৈশিষ্টের একটি  তাঁর বিষয় বৈচিত্র্য। নিজেকে অতিক্রমণের নিরন্তর প্রয়াস থেকেই ভাষা, আঙ্গিক প্রকরণের মতো বিষয়েও নতুনত্বের প্রয়াসী স্বদেশ, মুক্তিযুদ্ধ আর নিসর্গ প্রকৃতি তাঁর কবিতায় শুরু থেকেই গুরুত্ব পেয়ে আসছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা আর কল্পনার ঐশ্বর্যে যে কোনো বিষয়কে শিল্প করে তোলার শক্তি অনুসন্ধানের মধ্যেই কবিকে খুঁজে পাওয়া যায়। এই দু‘য়ের যে কোনো একটির বিবেচনা গ্রহণ করলেই নাসির আহমেদের কবিতার নিগূঢ় সৌন্দর্য প্রদেশে প্রবেশ সম্ভব। ‘এই বসন্তে তোমাকে ‘নাসির আহমেদের সেই উত্তরণ আর প্রাজ্ঞ অভিজ্ঞতারই উজ্জ্বল ফসল। নাসির আহমেদ কবিতার পাশাপাশি নাটক, উপন্যাস, সংগীত, শিশুসাহিত্য, কলামসহ নানামাত্রিক রচনায় বিস্তৃত করেছেন তার মেধা আর মনন। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ২৫। শিশুদের জন্য লিখেছেন: ‘একাত্তরের বীরকাহিনী ‘, ‘সাতরঙে ঝিলমিল’, ‘রক্তেরাঙা বাংলা আমার’, ইত্যাদি গ্রন্থ। সম্পাদিত গ্রন্থ : ‘এক দশকের নিবাচিত কবিতা’ (সত্তর দশক), ভ্রমণ : ‘স্বপ্নের দেশ আমেরিকা–পাখির চোখে দেখা’, নির্বাচিত কলাম : ‘জোট সরকারের পাঁচ বছর– কিছু খন্ডচিত্র’। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ (২০১০), ভারতের ‘বিষ্ণু দে পুরস্কার’, ‘সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি সম্মাননা’, ‘জাতীয় মঙ্গল পদক, কবিতালাপ পুরস্কার’, ‘কাব্যকলা পুরস্কার’,‘বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পদক’, ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার’, ‘সুকান্ত সাহিত্য পুরস্কার’, ‘জীবনাননন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার’, ‘স্ট্যান্ডার্ড এডুকেয়ার স্বর্ণপদক’, ‘চন্দ্রাবতী একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘কবি মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন গুণীজন সম্মাননা’, ‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ পুরস্কার’সহ বহু স্বীকৃতি। নাটক রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘খাগড়াছড়ি থিয়েটার পুরস্কার’, টেলিফিল্ম ‘ঢেউ ভেঙে ভেঙে’-র জন্য ‘বাচসাস পুরস্কার’, মেগাসিরিয়াল ‘সুখের লাগিয়া’-র জন্যে ২০০৫ সালে  পুনরায় ‘বাছসাস পুরস্কার’ পেয়েছেন। সংগীত রচনার জন্যে অর্জন করেছেন ‘লালন পুরস্কার’ ও ‘সারগাম ললিতকলা একাডেমি পুস্কার’। বাংলাদেশ বেতার ও টিলিভিশনের উচ্চ শ্রেণির গীতিকার ও নাট্যকার হিসেবে বহু গান ও নাটকের স্রষ্টা এই কবির রেকর্ডকৃত গানের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।