কতো নদী সরোবর বা বাংলা ভাষার জীবনী

৳ 280.00

হাজার বছর আগে প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা রূপান্তরিত হয়ে বঙ্গীয় অঞ্চলে জন্ম নিয়েছিল এক মধুর-কোমল-বিদ্রোহী প্রাকৃত। তার নাম বাংলা। ওই ভাষাকে কখনো বলা হয়েছে ‘প্রাকৃত’, কখনো বলা হয়েছে ‘গৌড়ীয় ভাষা’। কখনো বলা হয়েছে ‘বাঙ্গলা’, বা ‘বাঙ্গালা’। এখন বলি ‘বাংলা’ বা ‘বাংলা’। এ ভাষায় লেখা হয়নি কোনো ঐশী শ্লোক এ ভাষা স্নেহ পায় নি প্রভুদের। কিন্তু হাজার বছর ধ’রে এ ভাষা বইছে আর প্রকাশ করছে অসংখ্য মানুষের স্বপ্ন ও বাস্তব। বৌদ্ধ বাউলেরা বাংলা ভাষায় রচনা করেছেন দুঃখের গীতিকা; বৈষ্ণব কবিরা ভালোবেসেছেন বাংলা ভাষায়। মঙ্গল কবিরা এ ভাষায় গেয়েছেন লৌকিক মঙ্গলগান। এ ভাষায় লিখিত হয়েছে আধুনিক মানুষের জটিল উপাখ্যান। এ ভাষার জন্যে উৎসর্গিত হয়েছে আমার ভাইয়ের রঙিন বিদ্রোহী রক্ত। কতো নদী সরোবর বা বাংলা ভাষার জীবনী এ বাংলা ভাষারই জীবনের ইতিকথা। ডক্টর হুমায়ুন আজাদ লেখক হিসেবে বিস্ময়কর: তিনি একজন প্রধান কবি, ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে বাংলাদেশে অদ্বিতীয়, সমালোচক হিসেবে অসাধারণ। কিছু দুরূহ গ্রন্থের তিনি রচয়িতা। আবার কিশোরদের জন্যে অনন্য অনুপম ভাষায় তিনি লিখেছেন কয়েকটি সুখকর বই। কতো নদী সরোবর বা বাংলা ভাষার জীবনীতে বাংলা ভাষার ইতিহাস হুমায়ুন আজাদের হাতের ছোঁয়ায় হয়ে উঠেছে কবিতার মতো মধুর, সুখকর, সুন্দর।