গঙ্গা পদ্মা পদ্মাবতী

View cart “বিনষ্ট সময়ের কলাম” has been added to your cart.
View cart “মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র” has been added to your cart.
View cart “প্রসঙ্গ আত্মহত্যা” has been added to your cart.

৳ 700.00

বাংলাদেশ নামক ভূ-খণ্ডটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ গাঙ্গেয় বদ্বীপের বড় একটি অংশ নিয়ে গঠিত। হাজার হাজার বছর ব্যাপী গঙ্গা বাহিত লক্ষ লক্ষ টন পলি, কাদা ও বালি দ্বারা গঠিত দিগন্ত বিস্তৃত উর্বর এই শ্যামল ভূমি। আবহমান কাল থেকে এদেশের কবি, সাহিত্যিক ও গুনীজনেরা আমাদের প্রিয় পিতৃভূমিকে সুজলা-সুফলা কাননময় সবুজ শান্তির নীড়রূপে তুলে ধরেছেন। গঙ্গা ও পদ্মাকেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থা নানা বৈচিত্র্য, পুরাতাত্বিক ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ইত্যাদির সাথে পৃথিবীর অন্য কোনো নদী আবাহিকার তুলনা চলে না। গঙ্গা-পদ্মার দুই কূলে গড়ে ওঠা প্রাচীন জনপদ গুলোতে দেখা যাবে বহু ভাষাভাষী মানব গোষ্ঠীর লোকজন নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বসবাস করছেন। এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নগর বন্দরের সংখ্যা পৃথিবীর যে কোনো নদ-নদীর চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশে গঙ্গা-পদ্মা নিয়ে গ্রন্থ রচিত হয়েছে খুব অল্পসংখ্যাক। তবে গঙ্গা ও পদ্মা নিয়ে প্রবন্ধ রচিত হয়েছে বিস্তর। পত্র-পত্রিকা ও সময়িকীতে গবেষণামূলক প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে অসংখ্য। এর গতি প্রকৃতি এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে পৌরাণিক বিষয়, ভৌগোলিক বর্ণনামূলক প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। গঙ্গা-পদ্মা সামান্য মাত্র কয়েকটি বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন নগর- বন্দরগুলোর বর্ণনা, এখানে নির্মিত প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনসমূহের পরিচয়, এ অববাহিকায় বসবাকসারী বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রভ বনাঞ্চল সুন্দরবনকে উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রাচীন ও হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে। গঙ্গা ও পদ্মার অসংখ্য শাখা ও উপ-নদ-নদী নিয়ে বিস্তৃত বর্ণনা রয়েছে, যেগুলো এতকাল আমাদের কাছে ছিল একরূপ অজানা এবং অজ্ঞাত। কোনো পাঠ্যপুস্তকে কিংবা মানচিত্রে এই প্রবাহগুলো উপস্থাপিত হয়নি। বর্তমান গ্রন্থটিতে এরূপ একাধিক নদ নদীর পরিচয় মিলবে। গঙ্গা-পদ্মা সংশ্লিষ্ট অনেক অজানা তথ্য গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে যত্নের সাথে।