গণতন্তের বিপন্নধারায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী

৳ 125.00

Out of stock

রাজনীতি যারা করেন তারাই রাজনীতিক এবং দেশ ও দেশবাসীকে  সঠিক পথে পরিচালনায় রাষ্টীয় কর্তৃত্বও তাদের হাতেই থাকার কথা। বিশেষত: গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এমন একটি ধারণাকে স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে ধরে নেয়া হলেও তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশ বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন সময়ে তা অনুকরণ করে চলেনি। ওই দেশগুলোয় কারণ ও সময়ের যোগসূত্র ঘটিয়ে সমরনীতিকরাও আবির্ভূত হয়েছেন রাজনীতিতে, দেশ ও দেশবাসীকে পরিচালনার জন্যে কর্তৃত্ব নিয়েছেন রাষ্ট্রক্ষমতার। কখনো কখনো রাজনৈতিক দীনতা কিংবা দেশ ও দেশবাসীকে পরিচালনায় রাজনীতিকদের ব্যর্থতা রাজনীতিতে সমরনীতিকদের আগমনের পথ মসৃণ করে দিয়েছে। আবার কখনো অনুকূল সময়ের প্রবাহে বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রক্ষমতায় জেঁকে বসেছে সেনানিবাসের অযাচিত উচ্চভিলাষ। দারিদ্র্যপীড়িত এশীয় অঞ্চলে এই দুই প্রক্রিয়ায়ই রাজনীতিতে সমরনীতি কিংবা গণতন্ত্রে সমরতন্ত্র একাকার হয়েছে বহুবার। এই অঞ্চলেরই দক্ষিণ বলয়ের একটি দেশ বাংলাদেশও তার স্বাধীনতা লাভের মাত্র আড়াই দশকের সীমিত সময়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সরুপথে একাধিকবার সশস্ত্র বাহিনীর অধিষ্ঠান ঘটেছে রাজনীতিতে এবং এই ধারাপ্রবাহের একটি বিশাল অংশ তার শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে রাজনীতিতে। সশস্ত্র বাহিনীর এই রাজনৈতিক শিবির দখল এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির মোড়কে তাদের পোশাক বদল দেশ ও দেশবাসীর জন্য কতটা কল্যাণকর যায় যে রাজনীতিতে তাদের  দৃঢ় অবস্থান সব বুঝেশুনেই দেশবাসী এতদিনে অনেকটা আত্মস্থ করে নিয়েছে। খুব সম্ভব তাদের বিবেচনায় রাজনীতিতে কিংবা রাষ্ট্রক্ষমতায় সামরিক বাহিনীর বেসামরিক উপস্থিতি মোটেও অপাঙক্তেয় নয়, অনাহূত তো নয়ই। কীভাবে এটা সম্ভব হলো এবং কেনই বা হলো সে আত্মজিজ্ঞাসা-মূলক চিন্তা থেকেই গ্রন্থকার মেজর নাসির উদ্দিন তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, সম্পৃক্ততা এবং পরোক্ষ অন্বেষণের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথযাত্রার সশস্ত্র বাহিনীর উত্থানের ঘটনাপ্রবাহ পক্ষপাতহীন বিবেচনায় বিবৃত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর এই প্রয়াসেরই সারসংকলন ‘গণতন্ত্রের বিপন্নধারায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী’।