চতুর্দশপদী কবিতা

৳ 150.00

ইতালীয় Sonetto শব্দ থেকে সনেট। যার শাব্দিক অর্থ ছোট শব্দ। ইতালির কবি পেত্রার্ক (১৩০৪-১৩৭৮ )

রচনা  করেছিলেন ৩৬৬টি লিরিক কবিতা। তার মধ্যে প্রাধান্য ছিল সনেটের। কেটে গেছে সেই থেকে সাতশো বছর। ঘটে গেছে আঙ্গিকের বিস্ময়কর বিবিধ বৈচিত্র্য। কবি জন ডান ঈশ্বর-প্রেমকে করেছিলেন তাঁর বিয়ষ। ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে শেক্সপিয়রের পুরোনো পাণ্ডুলিপি থেকে আবিস্কৃত হলো ১৫৪টি সনেট। ঘটনাটা এই–সেসব সনেট রহস্যময়তায় মদির। রহস্যময়ী কৃষ্ণাঙ্গ এবং আরও অনেকে লিখেছেন চতুর্দশপদী। ঘটেছে নানা পরিবর্তন। মাত্রা, মিল, স্তবক বিন্যাসে এবং বৈচিত্র্যে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত চোদ্দো মাত্রায় পয়ারে সনেটকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন। প্রথম চৌধুরী মিলযুক্ত দ্বিপদী মাত্রায় ফরাসি ছাঁদে নির্মাণ করেছেন ১৯১৩ সালে ‘সনেট পঞ্চাশৎ ’। জীবনানন্দ। আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। আবার ইংরেজিতে দশ লাইনেরও সনেট sonnet  আছে। এই গন্থে ইন্দু সাহা ৭১টি সনেট লিখেছেন। তাঁর ৭১তম বয়নে। এখন তাঁর বয়স ৭২। তিনি সনেটের মাত্রার দিক থেকে চতুর্দশপদী হলেও, প্রয়োগের দিকে কোথাও কোথাও ভিন্নতা এনছেন সম্ভবত নিরীক্ষার জন্যে। তাঁর সনেটের বিষয় মানুষ, প্রকৃতি, শোষণ- বঞ্চনা, দুঃখ–জর্জরিত এই সমাজ। এবং এটা ঠিক যে শব্দ চয়নে তিনি সহজবোধ্য। ভীষণভাবে নান্দনিক। পাঠককে যা গভীর ভাবে আকর্ষণ করবে। বিষয় বৈচিত্র্য তাঁর সমাজমনস্কতারই নির্দ্বিধ প্রমাণ। আমাদের প্রত্যাশা, ইন্দু সাহা আরও অনেক সনেট নির্মাণ করুন। ঋদ্ধ সমৃদ্ধ করুন বাংলা চতুর্দশপদী কবিতার জগৎ।