Subtotal: ৳ 87,035.00
হাসনাত আবদুল হাই (১৯৩৯-) >>>>>>> জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪-১৯৬৫ সালে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করার পর যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে। ১৯৯৯ সালে সরকারের সচিবের পদ থেকে ...more
৳ 170.00
ভূষণপুর একটা কল্পিত গ্রামের নাম, অনেক দিক দিয়েই বাংলাদেশের অন্যান্য গ্রামের মতোই। সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির ভিত্তিতে দেশভাগের আগে ভূষণপুরে ছিল সত্যিকার অর্থে ছায়া সুনিবিড়, শান্তির নীড়ু যেখানে সুখে- দুঃখে মেশানো জীবনযাপন করেছে সেখানকার নর-নারী বংশপরম্পরায়। দেশ ভাগের সময় সাম্প্রদায়িকতার বিষ এবং তার বহুপর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকসেনাদের নৃশংসতা ভূষণপুরের হিন্দু-মুসলমান অধিবাসীদের জীবন করেছে বিপন্ন এবং বসতি বিপর্যস্ত। এই সব উন্মাতাল ঘটনা ভূষণপুরে শান্ত জীবনের পরিবেশে নিয়ে আসে বিশাল পরিবর্তন যার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে সেখানকার সকল শ্রেণির মানুষ। হিন্দুদের মধ্যে অনেকেই চলে যায় ভারতে, একবার দেশ ভাগের পর, দ্বিতীয়বার একাত্তরের ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা পেতে। শিক্ষিত, সচ্ছল মুসলমান পরিবারের আদর্শবান ছেলেরা চলে যায় শহরে গ্রামোন্নয়নের আশা ত্যাগ করে। ভূষণপুরকে স্বনির্ভর করার স্বপ্ন যারা দেখেছিল তাদেরকে হতাশা নিয়েই থাকতে হয় অথবা চলে যেতে হয় পূর্বপুরুষের ভিটে-মাটি ছেড়ে। প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ক্ষমতা গ্রহণ করে গ্রামের ওপর নিয়ন্ত্রণ শুরু করে এক সামাজিক-আধ্যাত্মিক আন্দোলন যেখানে সকল ধর্মের সমন্বয়ের মাধ্যমে খোঁজা হয় সহযোগিতা আর সমর্মিতার ভিত্তিতে জীবনযাপনের উপায়। সবার বাসলে ভালো, নইলে মনের কালো ঘুচবে নারে এই গান গেয়ে সংগঠনের সদস্যরা আহ্বান জানায় সংস্কারমুক্ত শান্তিকামী গ্রামবাসী। এই বাণী শুধু ভূষণপুর গ্রামের না তার মতো আরো অনেক গ্রামের মুক্তির এবং প্রগতির প্রেরণা হয়ে দেখা দিতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েই শেষ হয়েছে অতীত এবং বর্তমানকে ধারণ করে লেখা এই উপন্যাস।