- Home
- ∕
- Products
- ∕
- রাজনীতি/ কলাম/ রাষ্ট্রবিজ্ঞান/ গণতন্ত্র
- ∕
- দূরবীণে দূরদর্শী
৳ 300.00
শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রেই নয়, তিনি ছিলেন মনে প্রাণে একজন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা এবং সাংবাদিক। পাকিস্তান আমলে যখনই তিনি কারগারের বাইরে থেকেছেন তখনই দৈনিক ইত্তেফাক, দি পিপলস, সাপ্তাহিক বাংলার বাণীতে নিয়মিত বাংলা ও ইংরেজিতে কলাম লিখতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ই কলকাতা থেকে সাপ্তাহিক বাংলার বাণী প্রকাশের ব্যবস্থা করেছিলেন তার সম্পাদক হিসেব। স্বাধীনতার পরে’ ৭২ এর ২১ ফেব্রুয়ারিতে সাপ্তাহিক বাংলার বাণীকে দৈনিক হিসেবে প্রকাশ করেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই সাপ্তাহিক ‘সিনেমা’ ও দি কবাংলাদেশ টাইমস’ প্রকাশ করেন।
শেখ মণির সাহিত্য প্রতিভার প্রথম প্রকাশ ঘটে ষাটের দশকের গোড়ার দিকে। অনার্সসহ এমএ পাস করার পর ‘বৃত্ত’ নামে তিনি একটি উপন্যাস লেখেন এবং তা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে বইটি আর তেমনভাবে প্রচারিত হতে পারেনি। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কট করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। পূর্ব পাকিস্তানের কূখ্যাত গভর্নর মোনায়েম খানের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সার্টিফিকেট নিতে রাজি নয় বলে সরকারকে জানিয়ে দেয়। সেই আন্দোলন সফল হলেও সরকারি বাহিনীর সাথে ছাত্র সমাজের তুমুল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারের নির্দেশেই এ আন্দোলনের প্রধান দুই নেতার এমএ ডিগ্রী বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর একজন ছিলেন আসমত আলি শিকদার ও অন্যজন শেখ ফজলুল হক মণি। শেখ মণিকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। কারাগারে থেকেই তিনি ড. আলীম আল রাজী আইন কলেজ থেকে এলএলবি পরীক্ষা দিয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। অর্থাৎ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি সর্বদা নিবেদিত শেক মণি একজন আইনজ্ঞও ছিলেন। তবে পেশা হিসেবে তিনি তা গ্রহণ করেননি। তার প্রধান নেশা ও পেশা ছিল রাজনীতি ও সাংবাদিকতা।