দ্রোহের পদাবলী

৳ 100.00

কবি শেখ হাফিজুর রহমানের জন্ম টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৫৪-র ৩০ এপ্রিল। বাবা শেখ হাবিবুর রহমান, মা শেখ সৈয়দা বেগম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। আত্মজ হাবিব@ এই ছদ্মনামে লিখতেন। পরে যখন কবিতাগুলো গ্রন্থভুক্ত হয় তখন কবি স্বনামে আত্মপ্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে মোট ৩টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত। বাংলাদেশ থেকে নোঙরের তরী ২০০১, মধুমতি ২০০৩ ও ভারত থেকে গণপাঁচালি ২০০৭। প্রথম ধারাবাহিক লেখা ইতিহাস কথা কও শিরোনামে নিয়মিত প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক খবর পত্রিকায়। পরে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষাপট নামে লেখাটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। তাঁর কবিতা চলচ্চিত্রেও রূপায়িত হয়েছে। বিনি সুতোর মালা কবিতাটি অবলম্বনে তথ্যচিত্ররূপে ২০০৮ সালে কলকাতায়। চলচ্চিত্রটি ২০০৯ সালে লন্ডনে রেইনবো ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে  প্রদর্শিত হয় এবং দশকদের ভূয়সি প্রশংসা অর্জন করে। তাঁর কবিতাগুলো বিভিন্ন কাব্য সংকলনেই স্থান পায়নি আবৃত্তিকারদেরও আকৃষ্ট করেছে। তাঁর কবিতার সিডি প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা ও লন্ডন থেকে। কলকাতা থেকে তাঁর আবৃত্তির সিডি গণপাঁচালি প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে তরুণ আবৃত্তিকার শাহাদাৎ হোসেন নিপুর কণ্ঠে এবং লন্ডন ইউ কে থেকে প্রতিচ্ছবি ও অন্যান্য শিরোনামে আবৃত্তির ‍সিডি প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে, বেতার বাংলার প্রযোজনায়। এই সিডির মোড়ক উন্মোচনে শেখ হাফিজুর রহমানের কবিতার মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট জনাব আবদুল গাফফর চৌধুরী বলেন, রাশিয়ার কবি মায়াকোভস্কির মতোই শেখ হাফিজুর রহমানের কবিতায় দারুণ উন্মাদনা আছে, সমাজের একটা বাস্তব চিত্র আছে, চমৎকার প্রতিবাদ আছে । বিখ্যাত মনীষী রোমা রোঁলাকে হত্যা করার জন্য হিটলার যখন জেলে নেয় তখন রোমা রোঁলা বলেছিলেন, I will never rest- এই স্পিরিট আমরা শেখ হাফিজুর রহমানের কবিতায়ও দেখতে পাই । কবিতা থেকে গান বিষয়টি বাংলা কাব্যজগৎ কিংবা বাংলা সংগীতজগৎ কোনোটির জন্যই নতুন ঘটনা রয়। কবি শেখ হাফিজুর রহমানের কবিতার গীতময়তা সুরকারদেরও মনোযোগ কেড়েছে। কবিতা যখন জেগে ওঠে সাত-কাহন এই শিরোনামে রত্না চৌধুরীর সুরে কবির গানের সিডি প্রকাশিত হয় ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে, কলকাতা থেকে, কযমিক হার্মোনির প্রযোজনায়। যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন শ্রীমতী হৈমন্তী শুক্লা, শ্রীকান্ত আচার্য, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো খ্যাতিমান শিল্পীবৃন্দ। পুরস্কার : র্নিণ্য় স্বর্ণপদক ১৯৯৯, সুফি মোতাহার হোসেন পদক ২০০০, বঙ্গবন্ধু স্মারক পদক ২০০২, কলকাতা এবং মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার ২০০৩, কলকাতা। ১৯৮৪ সালে তিনি পিরোজপুরের মাননীয় সাংসদ, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম জনাব এনায়েত হোসেন খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ এ্যনী রহমানের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। যিনি নিজেও সুকণ্ঠী ও খ্যাতিমান একজন সংগীতশিল্পী। তাঁদের পুত্র শেখ খালিদ অরিন্দম তান ও কন্যা শেখ প্রজ্ঞা জয়ীতা রহমান। তিনি জাতির মননের প্রতীক বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য।