নিশ্চিন্তপুর আখ্যান

View cart “কাছের মানুষ,দূরের মানুষ” has been added to your cart.

৳ 100.00

নিশ্চিন্তপুর নামের স্বার্থকতা হয়েছিল বোধ হয়- এই গ্রামে রজব নামের আদর্শবাদী ছেলেটির জন্ম হয়েছিল বলেই। গোটা তল্লাটের যুবক শ্রেণির নেতা ছিল সে। এই ছেলেটি যখন বড় হলো, তখন থেকেই এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি। দূর হয়েছিল অনাচার-অবিচার। এমনকি দুষ্টের দমন হয়ে শিষ্টের পালন হতে যাচ্ছিল গ্রামটিতে। সুচরিত্রের এই যুবক শিক্ষায়-দীক্ষায় গুণেমানে ছিল তুলনাহীন। অপরদিকে তিন যুবতীর সুখসুপ্ততা হারিয়ে যায় এই সুজাত যুবকের প্রেমে পড়ে। এদের দু’জন মুসলিম একজন হিন্দু যুবতী। কখন যে কার হৃদয় মাঝে ঠাই পায়, সে জানে না। যুবক জানে না, কারো কাছে সে দেবতা হয়ে আছে। কারো বা হয়ে আছে স্বপ্নের মহাপুরুষ। যুবতীদ্বয় রওশন আরা আর আকলিমা পরস্পরের সখী। ভালোবাসার কারণে তিক্ত হয় সম্পর্ক, বাঁধে লড়াই। একজনের বাবা মুনশি মানুষ। মেয়ের প্রেমে পড়ার খবর জানতে পেরে এক রাতেই গলায় দা ধরে পার্শ্ববর্তী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ কবুল করিয়ে ছেড়েছে মেয়েকে। তারপরে লড়াই বিদ্যমান থাকে হিন্দু যুবতী মালাকুমারী আর মুসলিম যুবতী আকলিমার মাঝে। আকলিমা বড় জেদি মেয়ে। হিন্দু যুবতী জয় করবে তার স্বপ্নের যুবরাজকে? এ অসম্ভব! এক অমাবস্যার মেঘলা রাতে তাই জীবনের হারজিত খুঁজতে যায় সে। তারপর থেকে নিশ্চিন্তপুর হয়ে যায় কারো কাছে প্রেতপুর, কারো কাছে নিশ্চিন্তপুর বহুদূর। সৃষ্টি হয় নিশ্চিন্তপুর আখ্যান।