নয় এ মধুর খেলা

৳ 120.00

টিনার মনটা হঠাৎ কেমন যেন হয়ে গেল। পুরনো স্মৃতিরা সব ভিড় করে এগিয়ে এলো। সত্যিই তো ! বুঝতে না বুঝতে বছরগুলো এমন অনায়াসে গড়িয়ে চলে যায়। রেনের সঙ্গে তার শেষ দেখা হয়েছে দশ বছর আগে। নিউইয়র্কে। অসুস্থ সাব্রিনাকে নিয়ে টিনাই গিয়েছিল নিউইয়র্কে। সাব্রিনার বড় ভাই তখন ওখানকার এক হাসপাতালের ডাক্তার। তারপর সাব্রিনা বার দুয়েক ঢাকা এসেছে। রেন আর আসেনি। টিনারও এর মধ্যে আর বিদেশে যাওয়া হয়নি। রেনের বিয়ের সময় ওপক্ষ থেকে অনেক অনুনয়, এপক্ষ থেকে অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও টিনার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি এতদূর পাড়ি দিয়ে বিয়ে খেতে যেতে। প্ল্যান-প্রোগ্রাম আবার বদলে গেল। ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইট পাল্টে ঢাকা-ফ্রাংকফুর্ট করা হলো। তারিখ এগিয়ে আনা হলো তিন দিন। কারণ ওয়াশিংটন ডি.সি. পৌঁছোনোর তারিখ পেছানো যাবে না। পরদিনই টিনাদের প্রোগ্রাম শুরু। টিনার মনটা চলে গেল দশবছর আগের সেই মে মাসের গ্রীষ্মতপ্ত দিনটিতে, যেদিন সে সর্ম্পূণ অজান্তে পা রেখেছিল এমন একটি ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে, যা পরবর্তী সময়ে তাদের সবারই জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছিল ভয়ানকভাবে।