বাংলা কবিতার আধুনিকায়ন

View cart “শামসুর রাহমান/নিঃসঙ্গ শেরপা” has been added to your cart.

৳ 250.00

এই নিয়ে বইটির তৃতীয় সংস্করণ বের হলো। রবীন্দ্রোত্তর বাঙলা কবিতার আধুনিকায়নে নির্মাণকলার ক্ষেত্রে কী বিবর্তন ঘটেছে তা প্রথমবারের মতো বিশদভাবে বিশ্লেষিত হয়েছে বইটিতে, অন্যরা যেখানে আধুনিকতাকে বিশ্লেষণ করেছেন কেবল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও কবিতার বিষয়বস্তুনির্ভর সূচক: বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালের নৈরাশ্য, বিনষ্টি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, অমঙ্গলবোধ, ইত্যাদির ভিত্তিতে। এ-কারণেই ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে এটি এক যুগান্তকারী বই হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাহিত্যিক শওকত ওসমান লিখেছেন: “সাম্প্রতিক একটি আকস্মিকতা আমাকে বুদ করে রেখেছিল….দেশে মননের অনুশীলন তো নেই বললেই চলে…সেখানে বুদ্ধিদীপ্ত এমন একটি গ্রন্থের আবির্ভাব (হ্যা আবির্ভাবই বলবো!) সত্যিই অভাবনীয় বৈ কি!…বার বার প্রাচীন ঋষিবাক্য মনের ভেতর গুঞ্জর তুললে….বিশ্বাসে মিলায় হরির দেশ থেকে [লেখক অনেকদূর অগ্রসর (জনকণ্ঠ, ৪ এপ্রিল ১৯৯৭)। লেখাগুলো কেবল পত্রিকায় পড়েই কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন: “আবিদ আনোয়ারের সাহিত্যবিষয়ক প্রবন্ধ আমার ভালো লাগে (কারণ] কোনো ফাঁকি নেই, ভান নেই; স্পষ্ট তার উচ্চারণ অথচ ধৃষ্ট নয়” (ভোরের কাগজ, ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৩)। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত সাক্ষাতকারে হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন “আবিদ বেশ চমৎকারভাবে আমাদের কবিতার বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন (সাপ্তাহিক বিচিত্রা, ২১ মার্চ ১৯৯৭)। ষাটের দশকের বিশিষ্ট কবি ও গান রচয়িতা মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান লিখেছেন ‘বাঙলা কবিতার আধুনিকায়ন বইটি যারা পড়েননি, তারা বাঙলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ থেকে বঞ্চিত আছেন” (ওয়েব পোর্টাল)। বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী লিখেছেন: “সকল সীমাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাওয়া যায় আবিদ আনোয়ারের আলোচনায় ঢুকে পড়লে…..কবিতার আধুনিকায়ন নিয়ে এত বিশদ ও জ্ঞানগর্ভ আলোচনা তার চেয়ে অন্য কেউ আর করেননি এদেশে” (কালি ও কলম, চতুর্থ বর্ষ : অষ্টম সংখ্যা ॥ আশ্বিন ১৪১৪)। বাঙলা কবিতার আধুনিকায়নের পটভূমি হিসেবে বিশ্বকবিতার। আধুনিকায়ন-সংক্রান্ত তথ্যও বইটিতে আলোচিত হয়েছে। এতে সাহিত্যের ছাত্র-শিক্ষক ও নবীন কবিদেরও প্রয়োজন মিটবে