বিশ মিনিট

৳ 150.00

বিশ মিনিটের পরিসরে কী ঘটে মানুষের জীবনে! কত কিছুই ঘটতে পারে, ঘটেও। তবু কারো কারো কাছে বিশ মিনিট পাথরের মতো অনড়, ভারবাহী । জীবনে চলার পথে ধাপে ধাপে লুকিয়ে থাকে অজস্র চমকপ্রদ, বিব্রতকর পরিস্থিতি। তখন মানুষ নিজেকে কতটাই বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । সবার মাঝে থেকেও ব্যক্তিমানুষের একাকিত্ব ঘোচে না, ঘুচতে চায় না । পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র যে পরিসরেই অবস্থান করুক না কেন, শেষ বিচারে মানুষ সবসময় একা । পৃথিবীতে তার আগমন ও আমৃত্যু সংগ্রাম একাকিত্বের ঊর্ধ্বে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এক দম্পতির একটি দুপুর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেই পরিবারের কয়েকজন সদস্য। ডায়াগনসিস সেন্টারে অসুস্থ মানুষের মস্তিষ্কের হালহকিকত নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকলেও তার মনোগহিনের অতল সীমার সন্ধান কে পায়! পাওয়া কি যায়! বিশ মিনিট সেই উপন্যাস যেখানে নেই কোনো সংলাপ, ঘটনার ব্যাখ্যা । প্রচলিত রীতিকে উপেক্ষা করেই এতে আখ্যান ও এর সঙ্গে চরিত্রের মনোবাস্তবতাকে শৈল্পিক মাত্রায় বিন্যস্ত করা হয়েছে। একালের নাগরিক মানুষের প্রাত্যহিক জীবনবাস্তবতা ও অন্তর্বাস্তবতাকে সমন্বিতভাবে রূপায়ণ জটিল ব্যাপারই বটে । বিবরণের স্বাতন্ত্র, আখ্যান উপস্থাপনে কথকের ভিন্নধর্মী ভূমিকা, সংলাপহীনতা ও বাস্তবতা-অন্তর্বাস্তবতার সম্মিলনে গড়ে ওঠা ধোয়াশাচ্ছন্ন পরিমণ্ডল-এ উপন্যাসে যুক্ত করেছে চেতনাপ্রবাহরীতির বিশেষ মেজাজ ও আবহ। ‘চলমান’ অর্থে বিরতি চিহ্নসূচক (…) প্রতিটি পরিচ্ছেদের শুরু ও শেষ অসীম উন্মুক্ত পরিসর সৃষ্টি করেছে। উত্তরাধুনিক সাহিত্য-প্রবণতাসমূহ ‘বিশ মিনিট’-এ নিজস্ব ভঙ্গিমায় প্রযুক্ত । সমকালে এ ধরনের উপন্যাস রচনার নিদর্শন বিরল ঘটনাই বটে।