বিয়ে যৌনজীবন ৫০% ডিভোর্স

৳ 150.00

নারীবাদের জননী ভিন্ডিকেশন অব ওম্যান রাইট-এর লেখিকা মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট থেকে সিনোম দ্য বোভোয়ার। নারীবাদের পদচিহ্ন আজ পর্যন্ত যাঁরাই এঁকেছেন, প্রথাবিরুদ্ধতার কথা কেউই বলেননি বা বলা সম্ভবও ছিল না। যাঁরাই নারীবাদ নিয়ে লিখেছেন, তাঁর কোথাও-না-কোথাও স্ববিরোধী বক্তব্যও দিয়েছেন। সম্পূর্ণ নারীবাদ বলতে যা বোঝায়, তা আমাদের নেই। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মধ্যবয়সের সস্কট-এর পর, বিয়ে-যৌনজীবন-৫০% ডিভোর্স নিয়ে লেখিকার এই বইটি নারীর ওপর পুরুষের নির্যাতন, নারীর ভেতরে গজে-ওঠা অবিশ্বাসের বাসা এবং বিয়ে; এই অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে আলোচনা করা হয়েছে। বিয়ে কীভাবে নারীর সর্বনাশ ডেকে আনে, বিয়ের আগে লিখিত পূর্বশর্ত, ১টি সন্তানের ক্যাম্পেইন, বিভিন্ন বয়সে নারী সর্বনাশের আশঙ্কা, তার বিয়ে হওয়া কেন অনুচিত; এ নিয়ে ক্ষুরধার ও অকাট্য যুক্তিতে আলোচনা এই প্রথম। নারীর প্রতিভার অপমৃত্যু, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জলাঞ্জলি। এই সবকিছুর একটি সম্পূর্ণ চিত্র এই বইটিতে দেয়া আছে। চব্বিশ বছর ধরে দুই গোলার্ধের দুই সমাজে লেখিকার দ্রুত বিচরণ, বেক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আজীবন প্রথাবিরুদ্ধতা নারীবাদের ওপর লেখিকার অভিনব পর্যবেক্ষণকে সম্ভব করেছে। কি দেশ কি বিদেশ, বাঙালি সমাজে নারীনির্যাতন এবং বিয়ের পর তাদের পরনির্ভরতার জুড়ি নেই। নারীর সম্পূর্ণ জীবন নিয়েই প্রশ্ন। ২২ থেকে ২৪, যখন তার বিয়ে হয়, নারী তার জীবন থেকে ছিটকে পড়ে অন্যজীবনে, যে জীবনে তা জন্য মৃত্যুদণ্ড বইটি একটি সম্পূর্ণ নারীবাদ, এবং একবিংশ শতাব্দীর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রছিত। নারীর দুস্থ যৌনজীবন, যখন একা; পুরুষ তখন আনন্দে ভাসে বহুবিবাহে, পরকীয়া বা পতিতালয়ে। এই যে অসমতা, একে চূর্ণ করার দাবি নিয়েই এই বই।