Subtotal: ৳ 37,720.00
মৌলি আজাদের জন্ম ১৯৭৯ সালে। ১৯৯৪ সালে অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৬ সালে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্না...more
৳ 150.00
‘রক্তজবাদের কেউ ভালোবাসেনি’-কথাশিল্পী মৌলি আজাদের একটি দীর্ঘ গল্প। কিন্তু কারা এই রক্তজবা? কেনই বা তারা মানুষের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত? মানুষের ভালোবাসা না পাওয়াই কি তাদের হৃদয়ের একমাত্র যন্ত্রণা? সমাজের কোন অধিকারটাই বা পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারছে রক্তজবারা? জীবনের অনিবার্য-আকাঙ্ক্ষিত যেসব অধিকার মানুষের, আদৌও কি রক্তজবাদের কাছে সেইসব অধিকার চেনা? অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনাকে কি রক্তজবারা নিজেদের কপাল লিখন বলেই মেনে নিয়েছে? আর রক্তজবাদের চারপাশের নিজ স্বার্থের খোঁপে বন্দি মানুষগুলো বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে কি-ভাবছি আমরা তাদের কথা? আর তাই এই দীর্ঘ গল্পের অনেক রক্তজবার মধ্যে একজন রক্তজবা সালেহার মুখ দিয়েই বের হয়ে যায় সকল রক্তজবার ভিতরে জমে থাকা পেঁজা তুলার মতো পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। চারপাশের মানুষগুলোর কাছে যা অনেকটা হঠাৎ অগ্নি বিস্ফোরণরতুল্য মনে হয়।
গল্পের চতুর, তর্কবাগীশ, স্বার্থপর মানুষগুলো তাই রক্তজবা সালেহার অভিযোগ তথা ক্ষোভের উত্তর দেবার মতো ভাষা সহসাই খুঁজে পায় না। বাস্তবে আমরাও কি পারব রক্তজবাদের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বয়ে যাওয়া নানা ঝাঞ্ঝা আর সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মতো বিক্ষুব্ধ জীবনের হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে? তাদের জন্য কি সাজানো আছে কেবল অপমান আর করুণা? পেরেছি কি আমরা তাদের ভালোবাসা দিতে বা নিজেদের কাছে টেনে আনতে? আমাদের সমাজের রক্তজবাদের নানা কথার সাথে সমাজের বিভিন্ন অসংগতিকে ভিন্নধর্মীভাবে গল্পের আকারে এক ক্যানভাসে সাজিয়েছেন কথাশিল্পী মৌলি আজাদ। ঝরঝরে মেদহীন ভাষায় লিখিত মৌলি আজাদের দীর্ঘ গল্প ‘রক্তজবাদের কেউ ভালোবাসেনি’। আশা করা যায় বইটি পাঠে পাঠক পাবে শিল্পের নির্যাস আর নতুনভাবে জীবন-মানুষ-সম্পর্ক এবং চারপাশকে উপলব্ধি করার প্রয়াস।