সব ওষুধ নিরাপদ নয়

৳ 200.00

রোগীর নিরাপত্তা ও রোগ নিরাময়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো নিরাপদ ওষুধ। সরকারের অঙ্গীকার ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাই শুধু নিরাপদ ওষুধের নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে। বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত সব দেশেই এই অঙ্গীকার ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ক্রটি দেখা যায়। এর ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর সব দেশেই নকল, ভেজাল, অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর, অনিরাপদ ও মরণঘাতী ওষুধের ছড়াছড়ি আমরা দেখতে পাই। স্বাভাবিক মাত্রায় কোনো ওষুধ প্রয়োগের পর মানবদেহে যেসব ক্ষতিকর ও অনাকাঙ্খিত উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়- তাকে আমরা বলি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিষক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়া। বলা হয়ে থাকে- কোনো ওষুধই নিরাপদ নয়। শরীরে প্রতিটি ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। প্রেসক্রিপশন ড্রাগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিষক্রিয়া ও মিথষ্ক্রিয়ার কারণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। ওষুধের কারণে মৃত্যু শীর্ষস্থানীয় মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। সচেষ্ট হলে এসব অনাকিঙ্ক্ষত মৃত্যু অতি সহজেই এড়ানো যায়। ওষুধ উৎপাদন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, মান নিয়ন্ত্রণ ও বিপণনের বিভিন্ন স্তরে অনিয়ম, ভুল-ত্রুটি, দুর্নীতি, প্রতারণা, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব, আইন পয়োগে শৈথিল্য ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তিদানে অনীহা বা ব্যর্থতা আমাদের নিরাপদ ওষুধ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছে। ওষুধ জীবন রক্ষাকারী বস্তু। ওষুধ নিরাপদ না হলে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হবে, অসুস্থ মানুষ আরো জটিল অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে ভুগবে অথবা মৃত্যুবরণ করবে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুরোধ করার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবন্থা গ্রহণ করতে হবে-এটা আমাদের দাবি। আর তা করতে হলে নিরাপদ ওষুধের কোনো বিকল্প নেই।