সোনার তরী

View cart “বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ” has been added to your cart.
View cart “পাণ্ডুলিপির একাত্তর” has been added to your cart.
View cart “মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধ: বাগেরহাট জেলা” has been added to your cart.
View cart “বিস্মরণের চাবুক” has been added to your cart.

৳ 300.00

‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থটি বহুল পঠিত ও আলোচিত। এতে গ্রামীণ দৃশ্যপটের নিটোল বর্ণনা উপস্থাপিত হয়েছে। কবিতার দৃশ্যকল্প মানুষকে চিরচেনা প্রকৃতিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে  এখানেই শেষ নয়। এমন দৃশ্যপটের অন্তরালেও গভীর অর্থ নিহিত রয়েছে।

মহাকাল মানুষের কর্মকীর্তি বহন করে নিয়ে যায়, কিন্তু স্বয়ং কীর্তিমান মানুষকে সে রক্ষা করতে চায় না।  সোনার তরী কবিতার উপমার সঙ্গে মানবজীবনের গভীর একটি মেলবন্ধন তৈরি করেছেন কবি। কবিতায় কবি মহাকালকেই সোনার তরী বলেছেন। মানুষের যাবতীয় কর্ম মহাকাল গ্রহণ করে। কিন্তু ক্রমেই কর্মের স্রষ্টাকে ভুলে যায়। সোনার তরীও তা-ই করেছে।

জগৎ ও জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসাই ‘সোনার তরী’ কাব্যের মূল সুর । সোনার তরী রচনার সময় রবীন্দ্রনাথ জমিদারি তদারক করতে পদ্মাপারের জনপদে ঘুরেছেন, মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে  মিশেছেন, নিসর্গ প্রকৃতি ও মানব-প্রকৃতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ পরিচয়ে যুক্ত হয়েছেন এবং এসবেরই ফলে জগৎ ও জীবনের প্রতি এ রকম গভীর ভালোবাসার কবিতাগুলো তার হাত দিয়ে বেরিয়ে এসেছে । কবি নিজে বলেছেন: ‘সোনার তরী হচ্ছে বিশ্বের চিরন্তন অখণ্ড ও আদর্শ সৌন্দর্যের প্রতীক, এর মাঝি হলো সৌন্দর্য্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, আর নদী-কাল প্রবাহ, কৃষক- মানুষ, খেত- জীবনের ভোগবহুল কর্মক্ষেত্র, ধান-খন্ড সৌন্দর্য্যের সঞ্চয়।’এই কাব্যের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের কৃষিজীবনের সমস্ত সফলতা আর ব্যর্থতা কবির অন্তরে পুঞ্জীভূত হয়েছে।