হুমায়ুন আজাদ হত্যাচেষ্টার পর

View cart “ভালবাসার বন্ধন” has been added to your cart.
View cart “পাণ্ডুলিপির একাত্তর” has been added to your cart.
View cart “কাছের মানুষ,দূরের মানুষ” has been added to your cart.

৳ 80.00

এরকম ঘটনা ঘটেছিল কিংবা ঘটতে পারতো। আসলে হুমায়ুন আজাদ বাংলাদেশের একটি প্রতীকের নাম। আর যে কোনো প্রতীককে তো নানাভাবেই ব্যবহার করা যায় মূর্ত বা বিমূর্ত কিংবা কল্পনার মায়াজাল বিস্তারের জন্যও। এ উপন্যাসে হুমায়ুন আজাদ এমন একটি প্রতীক যাঁর মতো অনেকেই এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন, হচ্ছেন এবং হবেন। হত্যার যন্ত্রগুলো তাদের কাজ করে যাচ্ছে, হয়তো করবে আরো কিছুকাল। তারপর একসময় থামবে-থামতেই হবে। সেই সময়টা কেমন হতে পারে তার একটা রেখাচিত্র আঁকা হয়েছে। এ উপন্যাসে হুমায়ুন আজাদের সময়কার সেই যন্ত্রগুলোর কথাই বলা হয়েছে, যাদেরকে হত্যার যন্ত্র হিসেবে তৈরি করেছিল কতৃত্বকারী শক্তি। আরও বলা হয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণকারী এক সার্বভৌমের কথা-যার অবয়ব শ্মশ্রূমণ্ডিত কিন্তু ভূমিকা অশরীরীর মতো। লৈঙ্গিকভাবে সে ক্লীব তবে অস্তিত্বশীল তো বটেই, প্রচণ্ড রকমের রক্তলোলুপ ও ব্যভিচারী। তার কর্মীদের সব স্তরেই ব্যভিচার আর রিরংসা। সেই সময়ে তারা একটা প্রথা তৈরি করেছিল। হুমায়ুন আজাদ নামের একটি প্রতীক, একটি রক্ত-মাংসের কিন্তু স্বচ্ছ মানুষ সেই প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। আর তাই সেই ক্লীব অশরীরীর হত্যা যন্ত্রগুলো মৌলবাদের প্রবল উসকানিতে তাঁকে হত্যা করতে ‍উদ্যত হয়েছিল। সেই হত্যা-চেষ্টা কিন্তু ছিল তাদের এবং তাদের উসকানিদাতা ও সাভৌমেরও বিনাশের সূচনাপর্ব। এইসব বিবিধ বিষয় এবং হুমায়ুন আজাদের প্রথাবিরোধিতার স্বরূপ উন্মোচনের যৎসামান্য ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এ উপন্যাসে।