৳ 300.00
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক প্রতিভা । তিনি সাহিত্যের সব শাখাতে বিচরণ করলেও তার প্রথম ও শেষ পরিচয় তিনি কবি’। কবিতার জন্যই তিনি ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।তাঁর কবিতা শুধু বাঙালি পাঠককেই নয়,বিশ্বের অন্যান্য দেশের কবিতা পাঠককেও আনন্দ দিচ্ছে অবিরাম ।রবীন্দ্রনাথের কবিতা সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বেদনায়,শান্তিতে-সংগ্রামে মানুষকে প্রেরণা যোগায়।পৃথিবীর দেশে দেশে আজো তাঁর অগণিত কবিতাপাঠক রয়েছেন । রবীন্দ্র-কবিতার সুধা যিনি একবার পান করেছেন। তিনিই রবি-প্রেমে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়েছেন। মানব-মানবীর হার্দিক আবেগকে রবীন্দ্রনাথের মতো আর কোনো কবি শব্দে-ছন্দে রূপায়িত করেছেন বলে সাহিত্যের ইতিহাসে জানা যায়। না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) তাঁর ভাষণে বারবার রবীন্দ্রনাথের কবিতা ব্যবহার করেছেন,বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)। রবীন্দ্র-কবিতার বিশেষ ভক্ত ছিলেন।বাঙালির শিকড় সন্ধানী সকল প্রেরণার সঙ্গেই আছে রবীন্দ্র-কবিতার নিবিড় যোগাযোগ । বিশাল,বিপুল রবীন্দ্র-কাব্যের ভাণ্ডার থেকে বহুল পঠিত ও জনপ্রিয় পঙক্তিমালা নির্বাচন করে রবীন্দ্র-কাব্যের উদ্ধৃতি গ্রন্থের রূপ দেওয়া হয়েছে । প্রয়োজনীয় এই কাজটি সম্পাদন করেছেন।লেখক-গবেষক মোনায়েম সরকার,কবি ও কথাশিল্পী সৈয়দ জাহিদ হাসান ও লায়লা খানম শিল্পী ।বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে এমন একটি গ্রন্থের প্রয়োজনীয়তা বহুদিন ধরে রবীন্দ্রনাথের পাঠক-গবেষকগণ উপলব্ধি করেছেন ।রবীন্দ্র-কাব্যের উদ্ধৃতি প্রকাশের মাধ্যমে রবীন্দ্র-কাব্যপ্রেমীদের সেই আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণ হলো।