কবিতার বোনের সঙ্গে আবার

View cart “নীল কাঁটায় পারিজাত” has been added to your cart.

৳ 125.00

ভগ্নির সাথে ভ্রাতার সর্ম্পক, যার ভেতরে সহোদর বয়স্ক হয়ে ওঠে এবং আপনকার গূঢ় গ্রন্থিগুলিন অস্পষ্ট প্রতীক ও অনুচ্চারিত ইশারায় বুঝে নেয় তাকে কিভাবে কবিতায় পেশ করা যায়। কারণ, প্রথাসিদ্ধ প্রেমে তার প্রকাশ নাই, বিকাশও নাই। প্রেমিকাকে শারীরিকভাবে লাভ করাবার মধ্যে সহোদরের বয়স্কতা জৈবিক ও মানসিক পরিণতি লাভ করে মাত্র, কিন্তু তখন তাতে ভগ্নিমূলক অস্পষ্টতা বা ইশারার আর কোনো ভূমিকা থাকে না। তদুপরি  স্নেহ-প্রসূত কাম হতে রতিলিপ্সু কামুকতাকে তখন  আর পৃথক করা সম্ভবপর হয় না। এই অবস্থায় কবি কী করবে?  কি ভাবে পাঠকের মধ্যে এই প্রকার বিষয়গুলির উপলব্ধি ঘটান যাবে? বিষয়টি শুধুমাত্র ভ্রাতা ও ভগিনীর সম্পর্ক বিচারের ব্যাপার নয়, বিষয়টি কবিতার সাথে কবির সম্পর্ক বিচারের মামলা। কারণ কবিতার প্রতি, কিম্বা ‘জীবনদেবতার প্রতি’, কবির সম্পর্কআদতে সহোদর –সহোদরামূলক। একদিকে কবি সব সময়ই অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অপরদিকে জীবনদেবতাও নিরন্তর ভগিনীমূলক আচরণ করে চলেন। ভ্রাতা ও ভগিনী হিশাবেই কবিতা ও কবিতার আরাধ্য প্রতিমা নন্দনতত্ত্বে নিজেদের কুলজী মিলিয়ে কবিতার বংশপরম্পরা রক্ষা করে চলছে। এমন অবস্থায় কবির কিছুই করার নেই। অথচ কবি যদি গর্ভসূত্রজনিত রক্ত কিম্বা সহোদরার সাথে মাতৃগর্ভে সহবাস- অর্থাৎ দর্শন কিম্বা নন্দনতত্ত্বের সম্পর্কগুলি স্মরণ করিয়ে দিতেন বিচক্ষণ পাঠকগণও কবির সাথে কবিতার সম্পর্ক বুঝতে সক্ষম হত। এই পদ্যপুস্তিকায় এখন এই সত্য বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে যে দুনিয়ার রসণী বলে কিছু নাই। অতএব রমণযোগ্য কোনো বস্ত বা বিষয়ও নাই। কারণ কে কাকে আস্বাদন করছে, অথবা কে কর্তা কে বিষয় হলেন সেই আদ্য কথঅই শুধুপ্রশ্ন আকারে রয়ে গেছে, মীমাংসা হয়নি। এই অভাবের ভাবটুকুন ধরতে পারলে কবিতাগুলি নানাবিধ অর্থোৎপাদনে সক্ষম হবে।